বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের প্রানকেন্দ্র ও উত্তরের প্রবেশ মুখ বগুড়া জেলা। সম্রাট বলবানের পুত্র বগরা খানের নাম অনুসারে বগুড়া জেলার নাম করণ করা হয়। আর এই জেলার প্রান কেন্দ্রে অবস্থিত ফুলদিঘী হর্টিকালচার সেন্টারটি। এই হর্টিকালচার সেন্টারটি বগুড়া পৌরসভা এলাকায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও মনোরম পরিবেশে ৩.৮২ একর জায়গার উপর অবস্থিত। ফুলদিঘী হর্টিকালচার সেন্টারের জমির মালিক ছিলেন মোঃ আমান উল্লাহ, অবাংগালী। বর্তমানে জমিটি পরিত্যক্ত অবস্থায় জেলা প্রশাসক, বগুড়া মহোদয়ের অধীনে আছে। এই জমিটি প্রত্যেক বছর লিজ নবায়ন করে দীর্ঘ ৪৪ বছর ধরে চারা /কলম উৎপাদন করে আসিতেছে। এই হর্টিকালচার সেন্টারের পাশেই জাহাঙ্গীড়াবাদ ক্যান্টমেন্ট অবস্থিত। সেন্টারের পাশ দিয়েই রংপুর হাইওয়ে রোড চলে গেছে। পাশেই বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের বিভাগীয় কার্যালয় অবস্থিত।
হর্টিকালচার সেন্টার, ফুলদিঘী বগুড়া প্রতিষ্ঠানটি জন্মলগ্ন হতে কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন ফলদ , শাক, সবজি, বনজ ঔষদী, মসলা, ফুল , শোভাবর্ধনকারী গাছের চারা/ কলমসহ উদ্যান বিষয়ক বিভিন্ন ফসলের বীজ সরকারী যথাযথ নিয়মে বিক্রয় করে আসছে। অত্র সেন্টারের উৎপাদিত চারা/কলম/ বীজ চাহিদা ও প্রয়োজন অনুযায়ী স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়ে থাকে । এই প্রতিষ্ঠানটি চারা/ কলম বিক্রি করা ছাড়াও উদ্যান বিষয়ক বিভিন্ন ফসলের সমস্যা সমাধানের জন্য কৃষক/ কৃষানীদের পরামর্শ প্রদান করে থাকেন। ফলশ্রুতিতে এই সেন্টারের সুযোগ সুবিধা জনসাধারণের অত্যন্ত সহজ ভাবে পেয়ে থাকেন ও কৃষিতে প্রয়োগ করে কৃষির বিস্তৃতি সাধন করতে সক্ষম হন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস